লোহার শিকলে বাঁধা হাতি, আমরা অদৃশ্য শিকলে…
বিশ্বাসে মেলায় বস্তু তর্কে অনেক দূর।
তুমি যদি বুকে হাত দিয়ে বিশ্বাস নিয়ে বলতে পারো তুমি পারবে, তো তুমি ই পারবে !
সার্কাসের হাতিদের কিভাবে ট্রেইনিং দেয়া হয় জানো ??
প্রথমে বাচ্চা হাতিদের তার পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন করে ইয়া মোটা মোটা শিকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়। হাতি তার সর্ব শক্তি দিয়ে চেষ্টা করেও তার বৃত্ত থেকে বের হতে পারে না। এক সময় সে শিকল না ছিঁড়তে পেরে হাল ছেড়ে দেয়, সে বিশ্বাস করে ফেলে যে এই শিকল ছিঁড়ে বের হওয়া তার পক্ষে সম্ভব না। এক সময় সার্কাসের লোকেরা সেই শিকল খুলে পাতলা শিকল/ চেইন বেঁধে দেয়।
এই অবস্থায় সার্কাসে যদি আগুন লাগে তখন হাতি কি করে ?? শিকল ছিঁড়ে পালায় ? না !!!
হাতি সেখানেই পুড়ে মারা যায়, যখন সে আগুন থেকে দূরে সরতে পা বাড়ায় আর শিকলে পড়ে টান। আগের শত চেষ্টার কথা মনে পড়ে যায়। সে মেনে নেয় যে এই শিকল তার ছেঁড়া সম্ভব না। তাই মরেই যেতে হবে !
ছোট বেলা থেকে আমাদের ট্রেইনিং দেয়া হয় এই হাতিটির মতই। হয়তো যখন আমরা ‘ক,খ,গ,ঘ’ চিনিই না এর আগে আমাদের পায়ে শিকল দিয়ে শোনানো হয় ‘তোকে এইটা হতেই হবে’ !!
পিচ্চি মনে দাগ কেটে যায়, দাগটা কিন্ত হাতির পায়ে শিকলের দাগের মতই গভীর।
ভয় নিয়ে শুরু হয় পথ চলা, বিশ্বাসের ছিটে ফোঁটা ও থাকে না, থাকে ভয়,উদ্বেগ !
”…অমুকের পোলা তমুক জায়গায় পড়ে হ্যান করেছে, তোমাকেও ত্যান করতে হবে, ওরা পারলে তুমি ক্যান পারবা না ? আমরা কি ভাত দেই না…”
একবার দুইবার না কথা গুলো বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে শুনতে হয়, যথারীতি ‘আত্ম-বিশ্বাস’ থেকে ‘আত্ন-ভয়’ কাজ করা শুরু করে।
তোমার গায়ে আগুন লাগতেই পারে, কিন্ত তুমি তো আগুন থেকে দূরে যেতে পারছো না কারন তোমার মনে বিশ্বাস ই নাই যে তুমি পারবা !!
নিজের হারানো বিশ্বাস খুঁজে পেতে হবে ভাই, নিজের মনের মধ্যে একটু ডুব দিয়ে দেখো মন কি করতে চায় ! তোমার কি করতে ভালো লাগে সবচেয়ে বেশী? কিছু একটা তো আছেই যেটা তোমার মত কেউ করতে পারবে না ! ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, বিসিএস ক্যাডার হলেই তুমি সফল না।
চোখ খুলে দেখো, নিজের প্রিয় কোন পেশায় কত মানুষ কত সুখী, প্রিয় বিষয়ে পড়ায় কত মজা।
বিশ্বাস থেকে সাফল্য আসবে, আর সাফল্য তো সুখের আরেক নাম ! তাই না ???
লাইফ কার্নিভাল এক বিশ্বাসের নাম। বাকি পথ তোমার নিজের গড়ে নিতে হবে।।